লালমনিরহাটে শ্রমিক নেতাকে কুপিয়ে জখম


মিজানুর রহমানঃ
লালমনিরহাটে বাস শ্রমিক ইউনিয়নের দ্বন্দ্বের জেরে শ্রমিক নেতা বাপ্পিকে কুপিয়ে জখম করেছে সন্ত্রাসীরা,গুরুতর জখম অবস্থায় শ্রমিক নেতা বাপ্পিকে সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়।
বুধবার (১৩ই এপ্রিল)দুপুর ০৩টার দিকে লালমনিরহাট শহড়ের মিশন মোড় ঢাকা বাসষ্টান্ড এলাকায় শ্রমিক নেতা রবিন হোসেন বাপ্পি এসে পৌছলে,পিছন থেকে অয়নের নেতৃত্বে সাত আটজনের একটি সন্ত্রাশী গোষ্ঠী এসে এলোপাথারি ভাবে কুপিয়ে জখম করে বাপ্পিকে।শ্রমিক নেতা বাপ্পির চিৎকারে আশেপাশের লোক ছুটে আসলে অয়নের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।এই ঘটনার সাথে জড়িত শরীফ খান( ৫২) কে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।আহত শ্রমিক নেতা রবিন খান বাপ্পী কে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত শ্রমিক নেতা রবিন হোসেন বাপ্পী জানায় বাস শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা বুলবুল আহমেদের ছেলে জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি অয়ন আহমেদের নেতৃত্বে রতন,শরীফ খান,জিকু,সহ সাত আটজনের একটি সন্ত্রাশী গ্রুপ তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এই হামলা করে।এই বক্তব্য দেবার সময় রবিন খানের হাত ও বুক থেকে রক্ত ঝড়ছিলো।
লালমনিরহাটের মেয়াদত্তীর্ন বাস শ্রমিক ইউনিয়নের কমিটি গঠন নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত দ্বন্দ্ব চলে আসছিলো, এই দ্বন্দ্বের জেরে গত ২২মার্চ শ্রমিক নেতা আমিনুল ইসলাম লাঞ্ছিত হন,এর একদিন পরে মটর মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক সিরাজুল হকের পেট্রল পাম্প ভাংচুর করা হয়,এই ঘটনার জেরে ২৪ মার্চ বাস শ্রমিক নেতা বুলবুল আহমেদ মিশন মোড়ে লাঞ্ছিত হন, সেই মামলায় রবিন হোসেন বাপ্পি সহ ছয়জন কে আসামী করা হয়।পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করতে উভয় পক্ষের মামলা গ্রহন করে এবং দুইগ্রুপের আসামী গ্রেফতার করে।এই ঘটনায় একটি পক্ষ ক্ষুদ্ধ হয় এবং পুলিশ কে দায়ী করে জাতীয় শ্রমিকলীগের ব্যানারে প্রতিবাদ মিছিল করে বিডিআর গেট চত্বরে, সেখানে পুলিশের বদলি দাবী করা হয়।
লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহলম জানান,ঘটনা শুনার পর আমি নিজে ঘটনাস্থলে যাই এবং একজন কে গ্রেফতার করেছি।যে কোন পরিস্থিতি এড়াতে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।