লালামনিরহাটে সরকারি গাছ নিজের দাবি করে কেটে নিয়ে গেলেন ইউনিয়ন চেয়ারম্যান

নিউজ ডেস্ক।নিউজ ডেস্ক।
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  11:12 PM, 25 April 2022

মিজানুর রহমানঃ
লালামনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার নওদাবাস ইউনিয়নের একটি রাস্তার পাশের গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম ফজলুল হকের বিরুদ্ধে। তবে গাছ গুলো স্থানীয় বিদুৎ অফিস কেটেছে বলে দাবি ইউপি চেয়ারম্যানের।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার নওদাবাস ইউনিয়নে কেকতীবাড়ি থেকে ডাকালীবান্ধা রাস্তার ছাদেকুলের চাতাল এলাকার রাস্তার এক পাশের বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ৫৮ টি গাছ নির্বিচারে কাটা হয়েছে। যার বাজার মূল্য আনুমানিক ২ লাখ ২০ হাজার টাকা।
তবে নাম প্রকাশ না করা শর্তে স্থানীয়রা জানান, গত বৃহস্পতিবার ওই রাস্তার পাশে হাতীবান্ধা বিদুৎ সাপ্লাই কোম্পানি নেসকো অফিসের কর্মচারীরা নতুন বিদুৎতের তার সংযোগের কাজ করেন। এতে তারা কয়েকটি গাছের ডালপালা কাটেন। কিন্তু এ সময় ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফজলুল হক গাছ গুলো নিজের দাবি করে কেটে বাড়িতে নিয়ে যান।
এদিকে এ ঘটনায় ওই এলাকা জুড়ে ব্যাপক  সমালোচনা শুরু হলে কয়েকটি কাটা গাছ ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে আসেন চেয়ারম্যান ফজলুল হক। ইউপি চেয়ারম্যান হওয়ায় ক্ষমতা দেখিয়ে রাস্তার গাছ কেটেছেন বলে দাবি স্থানীয়দের।
নওদাবাস ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম ফজলুল হক বলেন, বিদুৎ অফিসের লোকজন গাছ গুলো কেটেছে। পরে খবর পেয়ে গ্রাম পুলিশকে দিয়ে গাছ গুলো ইউনিয়ন পরিষদে আনা হয়েছে। তবে বিদুৎ অফিস কেন গাছ কাটলো সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের তিনি কোনো উত্তর দিতে পারেনি।
হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজির হোসেন বলেন, গাছ কাটার বিষয়টি আমি শুনেছি, তবে কেউ বেআইনি ভাবে রাস্তার গাছ কাটলে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আপনার মতামত লিখুন :