মধ্যরাতে শীতার্তের পাশে লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশ সুপার
পুলিশের প্রতি মানুষের বরাবরই নেতিবাচক ধারণা রয়েছে। কিন্তু মানুষের সেই ধারণা পাল্টে দিয়েছেন লক্ষ্মীপুরের পুলিশ সুপার মাহফুজ্জামান আশরাফ। বিভিন্ন মানবসেবার কারণে জনগণের ভালোবাসায় সিক্ত হচ্ছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।
সোমবার (১৬ জানুয়ারি) গভীর রাতে লক্ষ্মীপুর জেলা শহরের বঙ্গবন্ধু চত্বর, দক্ষিণ তেহমুণী বাসস্ট্যান্ড, ঝুমুর সিনেমা ও একটি বেদে পল্লীর ছিন্নমূল মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র কম্বল বিতরণ করেন।
গত ২৩ আগস্ট লক্ষ্মীপুর পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান তিনি। এর পর থেকেই একেকটি মানবিক কাজ করে সমগ্র জেলায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। আর এই মানবিক কর্মকাণ্ডগুলো পরিচালনার ফলে জেলার পুলিশের সম্পর্কে সাধারণ মানুষের ধারণা একেবারেই পাল্টে যাচ্ছে।
শহরের চেয়ে গ্রামে শীতের তীব্রতা বেশি। তাই কঠোর পরিশ্রমীদের শীতবস্ত্রের অভাবে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। আর এ বিষয়টি নজরে আসে লক্ষ্মীপুর পুলিশ সুপার মাহফুজ্জামান আশরাফের।
জেলা পুলিশের উদ্যোগে জেলার বিভিন্ন উপজেলা ঘুরে গরীব, অসহায়, হতদরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত শীতার্তদের শীতবস্ত্র বিতরণ করেন মাহফুজ্জামান আশরাফ।
পুলিশ সুপার মাহফুজ্জামান আশরাফ বলেন, ‘জেলা পুলিশের উদ্যোগে এসব শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে। পর্যাক্রমে অন্যান্য উপজেলাগুলোতে বিতরণ করা হবে। জেলার সব-কটি থানা এলাকায় দরিদ্র নারী, পুরুষ ও শিশুদের এ শীতবস্ত্র বিতরণ করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সমাজে অনেক বিত্তবান রয়েছেন, তারা যদি স্বদিচ্ছা নিয়ে এগিয়ে আসেন তাহলে শুধু লক্ষ্মীপুর কেন সমগ্র দেশেই দরিদ্রতা কমে আসবে। একজন বিত্তবান ব্যক্তির ১০০ জন দরিদ্র ব্যক্তির পাশে দাঁড়ানোর সক্ষমতা রয়েছে। এভাবে যদি একজন করে ১০০ জন বিত্তবান ব্যক্তি দরিদ্রদের পাশে দাঁড়ান তাহলে এক হাজার দরিদ্রের দারিদ্রতা কমে যাবে।’
এ সময় অসহায় মানুষের সেবায় এগিয়ে আসতে বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
শীতবস্ত্র (কম্বল) বিতরণের সময় পুলিশ সুপার মাহফুজ্জামান আশরাফের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন তার সহধর্মিণী পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক) সভানেত্রী সেলিনা মাহফুজ, ডিআইও-১ একেএম আজিজুর রহমান মিয়া, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) প্রশাসন প্রবীর কুমার দাস ও লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.মোসলেহ উদ্দিন।
