লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে অজ্ঞাতনামা মহিলা হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি গ্রেফতার


শুক্রবার (২০ আগস্ট) সকালে কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম কাশিনাগর এলাকায় মোবাইল ট্রেকিং করে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে রায়পুর থানা পুলিশ।
আসামি সোহাগ পুলিশের কাছে দাবি করেন, প্রেমের টানে আসামী সোহাগের সাথে ভিকটিম লায়লা বাড়ি থেকে বের হয়। আসামী সোহাগের বন্ধু রফিকের প্রলোভনে আসামী সোহাগ লায়লাকে রফিকের মামার বাড়ি রায়পুরে নিয়ে আসে। রফিকের মামার বাড়িতে আসামী সোহাগ ভিকটিম লায়লার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করলে রফিকের মামী তাদের ঘর থেকে বের করে দেয়। মামীর বাড়ি থেকে ফেরত আসার সময় রফিক সুপারি বাগানের ভিতর দিয়ে তাদেরকে নিয়ে আসার পথিমধ্যে সোহাগ ও রফিক মিলে ভিকটিম লায়লাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। হত্যাকাণ্ডের সহযোগী রফিক হত্যাকাণ্ডের পরে লায়লাকে ধর্ষণ করে। আসামী সোহাগ হোসেনের বর্ণনা মতে হত্যাকাণ্ডটি সংগঠিত হয় গত ১৬ আগস্ট রাত ৮ টায়।
এবিষয় রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিপন বড়ুয়া বলেন, লক্ষ্মীপুর মান্যবর পুলিশ সুপার মহোদয় এর সুনির্দিষ্ট নির্দেশনায় রায়পুর সার্কেল সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ মোহাম্মদ শেখ সাদী এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে রায়পুর থানার একটি চৌকস অভিযানিক দল অতি অল্প সময়ের মধ্যে অজ্ঞাতনামা লাশের পরিচয় সনাক্তপূর্বক হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন এবং উক্ত ঘটনার মূল হোতা মোঃ সোহাগ হোসেন (২৭) কে ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইলসহ কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম থেকে গ্রেফতার করেন। মামলার অন্য আসামিকে গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত রেখেছি আমরা। শুক্রবার দুপুরে আসামি মোঃ সোহাগ হোসেন (২৭) কে ফৌ:কা:বি: ১৬৪ ধারায় উক্ত হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে লক্ষ্মীপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জনাব কামাল হোসেনের নিকট স্বীকারক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।
জবানবন্দি শুনে বিচারক তাকে জেল হাজতে পেরন করে।