সাত দিনের মধ্যে সাভারের দেহ ব্যাবসায়ী ও বিয়ে প্রতারক কেয়া’কে গ্রেফতারের দাবী সাংবাদিক সংগঠনদের

অনলাইন ডেস্ক।অনলাইন ডেস্ক।
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  03:22 PM, 21 August 2022

 

নতুন ধারার অনলাইন “যমুনা প্রতিদিনে” প্রকাশিত সংবাদ ডিলিট করতে হুকুম দেওয়ায় সাভার বিপিএটিসি প্লাম্বার কবির হোসেন বড় কন্যা কল্পনা আক্তার কেয়া কে গ্রেফতারের দাবী জানিয়েছে বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন।

জানা গেছে, সরকারী কোয়ার্টার ভেতরে দেহ ব্যাবসা নিয়ে খবর প্রকাশের পর তা সরিয়ে নিতে সাংবাদিক কে হুমকি দেয় বিয়ে প্রতারনা করে আলোচিত “কল্পনা আক্তার কেয়া “। সাংবাদিক নেতারা বলছেন, কোয়ার্টার ভেতরে দেহ ব্যাবসা জড়িত সহ নানা অপরাধে যুক্ত পরিবারটি’কে এখনো গ্রেফতার না করায় অবাক হয়েছেন তারা।

সাংবাদিক নেতা ” ইসমাইল ” বলেন, আপনি ভাইবেন না সরকারি কোয়ার্টার থাকেন বইলা ভয়ে গণমাধ্যম অপরাধ করলেও মিউ মিউ করবে। প্রতিবেদনে সারাদেশের মানুষ দেখেছে স্ক্রিনশট যুক্ত ছবিতে, আপনি ৫০০ টাকার তরুনী নিজেকে ই খারাপ বলে অবহিত করেছেন ঘেন্না জানিয়েছেন নিজের প্রতি। নিজের সেই স্টেটমেন্ট বলে দেয়, আপনি ‘কেয়া ” ধোয়া তুলসীপাতা নন। র‍্যাব ও পুলিশের ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে এসময় সাংবাদিকগন।

এই ব্যাপারে র‍্যাব সদর দফতরের কর্মকর্তাদের মানব বন্ধন থেকেই কল করে বিভিন্ন সাংবাদিকগন। বিষয়টি নিয়ে কাজ চলছে এবং যেকোন সময় অভিযান চালাবে আসামীদের ধরতে র‍্যাব।

সাংবাদিক নেতা ‘ মরিয়ম ‘ বলেন, যমুনা প্রতিদিনের ধারাবাহিক সাহসী সাংবাদিকতায় দেশের মানুষ আজ জানতে পারছে কোয়ার্টার কে পতিতালয় বানিয়ে কিভাবে সামান্য প্লাম্বার মাস্তানি করে বেড়ায়, কিভাবে জমি ছিনিয়ে নিয়েছেন আপনি কেয়া প্রথম স্বামীর কাছ থেকে, হোটেল বৈশাখী তে দেহ ব্যাবসা করার সময় আপনি, আপনার মা,বোন,খালার খেয়াল ছিলো না যে কোনও একদিন এইটার ফল ভোগ করতে হবে?নাকি দেহ ব্যাবসা করেছেন বলে ই টিকে যাবেন।

সাংবাদিক নেতা “জাফর” বলেন, ভারতীয় প্রভাবশালী সংবাদ মাধ্যম এনবিটিভি যখন দুইটি ভিডিও রিপোর্ট প্রচার করে চেহারা খুলে দিলো কেন সেখানে হুমকি দিতে পারেন নি? কারন! ভারতীয় মিডিয়া কেন বাংলাদেশের কোনও মিডিয়ার অপকর্ম নিয়ে খবর কে অসত্য বলার সাহস নেই আপনার পরিবারের। এসময় সাভার বিপিএটিসি সামনে বিক্ষোভ করা হবে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে বলে জানানো হয়।

সাংবাদিক নেতা ” কাজী ফিরোজ ‘ বলেন, আপনি কেয়া সহ অভিযুক্ত সকল নারী ফরেনসিক তদন্ত করতে সহায়তা করুন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কে। দেহ ব্যাবসা সহ বিয়ে প্রতারনা করেন নাই তা প্রমান দিন আদালতে,চারটি ভ্রন হত্যা করেন নাই তা প্রমান দিন আদালতে,নিজ চার বছরের ছেলে কে আদালত ও প্রথম স্বামীর অনুমতি ছাড়া দত্বক দেননি তা প্রমান করার দায়িত্ব আদালতে আপনার।তখন শুধু যমুনা প্রতিদিন কেন বাংলাদেশের জাতীয় সকল গণমাধ্যম পাশে থাকবে আপনার পরিবারের। কিন্তু গোয়েন্দা সংস্থা তদন্তে কেন বাধা দিচ্ছেন পুরো পরিবার প্রশ্ন রাখা হয় কেয়ার প্রতি?সাংবাদিক প্রবেশ করতে কেন বাধা দিচ্ছে বিপিএটিসি সিকিউরিটি গার্ডরা?কত টাকা ব্যয় করছেন সেক্ষেত্রে! কিসের ভয় অপরাধ না করলে! লজ্জা লাগেনি পোশাকের মতো স্বামী বদলাতে,নিজের মায়ের বোনের ও খালার দেহ ব্যাবসা বাধা দেননি কেন?আপনার বান্ধবী মিডিয়া কে বলেছে, মা বাবা বাধ্য করতো দেহ ব্যাবসা করতে। আমার প্রশ্ন তাহলে কেন বাপ মায়ের বিরুদ্ধে যেতে পারেন নি? থানা চিনেন না!বাপের বয়সী মানুষদের সঙ্গে দেহ ব্যাবসা করতে লজ্জা লাগেনি কখনো? তখন কেন বিবেক বাধেনি,আজ কেন মিডিয়ায় আসার পর বিবেক জাগ্রত হলো।

যমুনা প্রতিদিনে সম্পাদক ‘ নিহাল ‘ বলেন, আমরা সত্য প্রকাশে কখনো বিচলিত হবো না। এই ব্যাপারে বিয়ে প্রতারক ও দেহ ব্যাবসায়ী ” কেয়া’র বিরুদ্ধে গণমাধ্যমটির পক্ষ থেকে জিডি করা হচ্ছে। পাশাপাশি তিনি স্বাধীন সংবাদ মাধ্যম হিসেবে এগিয়ে যাওয়ারও ঘোষণা দেন।

আপনার মতামত লিখুন :