সেই ভুয়া কর্ণেল এবার কলেজ শিক্ষার্থীর আইফোন নিয়ে চাঁদা দাবি

লক্ষ্মীপুরে এক চাইনিজ রেষ্ট্রুরেন্টে ভুয়া কর্ণেল পরিচয়ে অধ্যাপককে মারধর করার পর এবার রায়পুরে এক কলেজ শিক্ষার্থীর আইফোন কেড়ে নিয়ে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় নাজমুল হোসেন রায়পুর সেনা ক্যাম্পে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত ২০ ডিসেম্বর বান্ধবীকে নিয়ে রায়পুর অন্ধকল্যাণ চক্ষু হাসপাতালে নিজের কর্মস্থলে আসলে বাহিরে থেকে তালা লাগিয়ে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে এক কলেজ শিক্ষার্থীর হাতে থাকা আইফোন ১৩ সিরিজের মোবাইল হাতিয়ে নেয় অভিযুক্ত সৌরভ। ঘটনাটি ঘটেছে রায়পুর অন্ধকল্যাণ চক্ষু হাসপাতালে।

সেনা ক্যাম্পে অভিযোগ সূত্র জানায়, গত ২০ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় রায়পুর বাসটার্মিনাল এলাকায় অন্ধ কল্যান চক্ষু হাসপাতালে নিজের কর্মস্থলে বান্ধবীর সাথে করে নিয়ে আসে নাজমুল। এসময় তাকে রিসিপশনের বসিয়ে নিজের পরীক্ষার এডমিট কার্ড নিতে নাজমুল আরেক কক্ষে গেলে মা ও শিশু হাসপাতালের ম্যানেজার সৌরভ এসে দরজায় তালা লাগিয়ে দেয়। তালা লাগানোর কারণ জানতে চাইলে শিক্ষার্থী নাজমুল ও তার বান্ধবীকে মারধর করার হুমকি দিয়ে মোবাইল নিয়ে যায় সৌরভ।

অভিযোগকারি নাজমুল বলেন, আমি চক্ষু হাসপাতালে চাকুরী করি। এডমিট কার্ড নিতে অপর একটি রুমে যাই। রিসিপশনেই বসা ছিলো আমার ক্লাসমেট। তখন সৌরভ তার কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে বাহির থেকে দরজায় তালা লাগিয়ে দেয়। ফোন করে লোকজন নিয়ে এসে আমাকে অকথ্য ভাষায় অপমান অপদস্ত করে। আমার হাতে থাকা আইফোন ১৩ সিরিজের মোবাইলটি কেড়ে নেয়। আমি বিচার চেয়ে সেনা ক্যাম্পে লিখিত অভিযোগ করেছি।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও হাসপাতালটির পরিচালক মেহেদী হাসান বলেন, আমি প্রাতিষ্ঠানিক কাজে বাহিরে ছিলাম। জানতে পারি সৌরভসহ কয়েকজন আমার স্টাফকে আমার হাসপাতালেই আটকে রেখেছে। খবর পেয়ে দ্রুত ছুটে এসে তাদেরকে বের করি। সৌরভ আমার কর্মচারী নাজমুলের হাতে থাকা আইফোন ছিনিয়ে নিয়ে চলে যায়। এখন ফোনটি সৌরভ দেয়নি এবং নাজমুলের কাছে বিশ হাজার টাকা চাঁদাদাবি করছে।

উল্লেখ্য, এ ঘটনার ৪দিন পর লক্ষ্মীপুর ওয়েলকাম চাইনিজ রেস্টুরেন্টের পাশে অধ্যাপক দিদার আহমেদকে কর্ণেল পরিচয় দিয়ে মারধর করে সৌরভ। সে ঘটনাও ইতোমধ্যে মিডিয়ার নজরে এসেছে। জাতীয় সারির শীর্ষ সংবাদমাধ্যমে- “লক্ষ্মীপুরে সাংবাদিক ও কর্ণেল পরিচয়ে গণপিটুনী দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে দুই যুবককে” শিরোনামে কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে ।

এবিষয়ে অভিযুক্ত সৌরভ বলেন, মোবাইল বা ২০ হাজার টাকার বিষয়ে আমি জানিনা। রায়পুর মা ও শিশু হাসপাতালের চেয়ারম্যান ওই ভবনের মালিক মোঃ ফজলুল করিম চক্ষু হাসপাতালের কর্মচারি নাজমুলের মোবাইল নিয়ে এডভোকেট সোহাগের কাছে রেখেছেন।

আপনার মতামত লিখুন :