রায়পুরে কিশোর হত্যায় আ’লীগ নেতা বহিস্কার; ফাঁসির দাবিতে এলাকাবাসির মানববন্ধন


রাকিবুল ইসলাম
রায়পুরে ৭ম শ্রেণীর ছাত্র রাসেল হোসেন হত্যার ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতা বিএম শাহজালাল রাহুলসহ জড়িতদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী। শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে চরবংশী ইউপির মিয়ারহাট বাজারে ২ শতাধিক গ্রামবাসী এ মানববন্ধন করেন।
অন্যদিকে, রাহুলকে ইউনিয়নের যুগ্ম-সাধারন সম্পাদকের পদ থেকে বহিস্কার করেছে আ’লীগ।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মনির হোসেন মোল্লা বলেন, তার বিরুদ্ধে আগেও হত্যা ধর্ষণসহ অন্তত ১২ টি মামলা চলমান, তাকে দল থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। দলীয় ব্যবস্থা প্রক্রিয়া দিন।
উল্লেখ্য, রাহুলের বিরুদ্ধে গৃহকর্মী ধর্ষণ, হত্যাসহ ১২টি মামলা রয়েছে বলে থানা পুলিশ জানান।
বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের মিয়ারহাট বাজারে আওয়ামী লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষে ছুরিকাঘাতে রাসেল নিহত হয়। আহত হয় ১২ জন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে রাহুলসহ পাঁচজনকে আটক করে।
বুধবার রাত ১টার সময় নিহত রাসেলের মা ফাতেমা বেগম বাদী হয়ে ছয়জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত তিনজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
গ্রেফতার রাহুল উপজেলার দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক। অন্যরা হলেন, সদরের পূর্ব নন্দনপুর গ্রামের মৃত আবদুল মান্নানের ছেলে মো. সোহাগ (২৭), রায়পুরের চরলক্ষ্মী গ্রামের মৃত ইউসুফ কারীর ছেলে ফারুক কারী ও চরকাছিয়া গ্রামের মানিক শিকদারের ছেলে সুমন শিকদার (৩০)। তারা রাহুলের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
এজাহারে নিহতের মা ফাতেমা বেগম উল্লেখ করেন, তার স্বামী মনির হোসেন চরের জমিতে ফসল চাষাবাদ করেন। তবে সেই জমির ফসল জোরপূর্বক কেটে নেন আওয়ামী লীগ নেতা রাহুল। তার স্বামী প্রতিবাদ করলে হত্যার হুমকি দেয়া হয়।
বুধবার সকালে রাসেল সেই জমি দেখাশোনা করতে ঘর থেকে বের হয়। পথে মাছঘাটে পৌঁছালে রাহুল তার লোকজন নিয়ে রাসেল ও তার বাবা মনির হোসেনের ওপর হামলা করে। হামলাকারীরা রাসেলের পেটে ধারালো ছুরি ঢুকিয়ে দিলে সে গুরুতর জখম হয়। স্থানীয় লোকজন কিশোর রাসেলকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে জানান।
রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিপন বড়ুয়া বলেন, শাহজালাল রাহুলসহ আটকদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।