বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২


লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে আরও এক জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত হয়ে ঢাকায় চিকিৎসাধীন জসিম উদ্দিন বেপারী (৪০) সোমবার সকালে মারা যান। এর আগে সংঘর্ষের দিন ঘটনাস্থলে গুরুতর আহত হয়ে নিহত হয়েছিলেন সাইজ উদ্দিন দেওয়ান নামের এক প্রবাসী।
গত ৭ এপ্রিল বিকেলে উপজেলার উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের খাসেরহাট বাজারে স্থানীয় বিএনপি নেতা ফারুক কবিরাজ ও কৃষকদল নেতা জিএম শামীম গাজীর অনুসারীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ বাধে। দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ঘণ্টাব্যাপী চলা এ সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে নিলে নিহত হন সাইজ উদ্দিন দেওয়ান। আহত হন অন্তত ৩০ জন।
জসিম উদ্দিন বেপারী উত্তর চরবংশী গ্রামের হজল করিমের ছেলে। তিনি রায়পুর উপজেলা বিএনপির সদস্য ফারুক কবিরাজের অনুসারী ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। সংঘর্ষে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাত পান তিনি। প্রথমে রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে তাকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। সোমবার সকাল ১১টার দিকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
প্রবাসী সাইজ উদ্দিন দেওয়ান হত্যা মামলায় ইতোমধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জসিম উদ্দিনের মৃত্যুর পর তার পরিবারের পক্ষ থেকেও মামলার প্রস্তুতি চলছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রশাসন সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
বিএনপির এই দুই পক্ষের সংঘর্ষের পর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে উত্তর চরবংশী ইউনিয়ন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে স্থানীয় বিএনপির অঙ্গসংগঠনের কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। জেলা বিএনপির নেতারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং দলীয় কোন্দল নিরসনে কেন্দ্রীয় নেতাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
ঘটনার পর থেকে খাসেরহাট বাজার ও আশপাশের এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। অনেক দোকানপাট বন্ধ, সাধারণ মানুষ প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হচ্ছেন না। স্থানীয়রা দ্রুত বিচার ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা দাবি করেছেন।