আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার খাসেরহাট এলাকায় বিএনপির দুটি গ্রুপের সংঘর্ষে সাইজ উদ্দিন (৪০) নিহত হয়েছেন। এ সময় আরও ১৫ জন আহত হন, যাদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। উত্তেজনার জেরে কয়েকটি বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়।

সোমবার (৭ এপ্রিল) বিকেলে বিএনপি নেতা ফারুক কবিরাজ ও কৃষক দল নেতা শামীম গাজীর সমর্থকদের মধ্যে এই সংঘর্ষ ঘটে। ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে, এবং পুলিশ অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করে। উভয় পক্ষই এই হামলার জন্য একে অপরকে দায়ী করছেন।

দলীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে চরবংশী ইউনিয়নে বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ফারুক কবিরাজ ও উপজেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব শামীম গাজীর গ্রুপের মধ্যে মাছঘাট, মেঘনার চর ও কাঁচাবাজার নিয়ে আধিপত্য নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। সোমবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত একাধিকবার সংঘর্ষ হয়, যাতে ১৫ জন আহত হন। পরে ফারুক কবিরাজের ভাই মেহেদী কবিরাজের নেতৃত্বে শামীম গাজীর সমর্থক আবু খাঁ ও সাইজ উদ্দিনকে মারধর করে কুপিয়ে আহত করা হয়। সাইজ উদ্দিনকে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

আশঙ্কাজনক অবস্থায় আবু খাঁ, নজরুল কবিরাজ, হানিফ দেওয়ান ও জসিম উদ্দিনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যান্য আহতদের স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সালেহ আহমেদ বলেন, গত ২১ ডিসেম্বর চরবংশী ইউনিয়নের বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। এরপরই শামীম গাজী ও ফারুক কবিরাজের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। তিনি বাড়িঘর ভাঙচুরের খবর নিশ্চিত করে তদন্তের কথা জানান।

রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নিজাম উদ্দিন ভূইয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. কমলাশীষ বলেন, সাইজ উদ্দিনের মৃত্যুর কারণ ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে।

এই সংঘর্ষের পর এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।