কিংশুক বহুমুখী সমবায় সমিতি কর্তৃক পাওনা টাকা আদায়ে হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার। বৃহস্পতিবার সকালে রায়পুর পৌর শহরে এই সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগীরা।
সংবাদ সম্মেলনে নুরুল আলমের মেয়ে মিথিলা আক্তার অভিযোগ করে বলেন, আমার বাবা মৃত নুরুল আলম রায়পুর কিংশুক বহুমুখী সমবায় সমিতিতে আট লক্ষ টাকা এফ ডিয়ার করে টাকা জমা করেন। এফ ডিয়ারের মেয়াদ শেষ হয় ফেব্রুয়ারী-২০২৪ এ। ২০২৪ এর ফেব্রুয়ারী থেকে টাকা দিবে বলে আশা দিয়েও আজকে পর্যন্ত টাকা দেয়না।
এর মধ্যে আমার বাবা মানুষের কাছ থেকে টাকা ঋন করেছে তারাও তাদের পাওনা টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া শুরু করেন। এতে উনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। অতিরিক্ত চাপ ও টেনশন সহ্য করতে না পেরে উনি স্টোক করে মৃত্যুবরণ করেন। আমার তিন ভাই প্রবাসী। আমার বড় ভাই বাবার মৃত্যুর খবর শুনে দেশে আসে। আমার ভাই দেশে এসে কিংশুক অফিসে যোগাযোগ করে। কিংশুক অফিসের পরিচালক বাহার হুজুর আমার ভাইয়ের কাছে কাগজপত্র চায়। আমার ভাই উনার কথা মতো সকল প্রকারের কাগজপত্র উনাকে দেয়। কিন্তু তার পরেও সকল কাগজপত্র থাকার পরেও আমার ভাইকেও একই ভাবে তারা হয়রানী করে। এবং আমাদেরকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধমকি দেয়, যেনো আমরা এই টাকা না দাবি করি।
বর্তমানে আমার ভাই সহ আমার পুরো পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেছি। আমাদের জীবনযাপন করতে অনেক কষ্টসাধ্য হচ্ছে। আমার বড় ভাই ওমান প্রবাসী। সে আমার বাবার ঋন পরিশোধ করে বিদেশে আবার ছুটি শেষ করে যাওয়ার জন্য ওই টাকার অপেক্ষা করতে থাকে। আমার ভাই উক্ত টাকার অপেক্ষা করতে করতে টাকা না পাওয়ার কারণে আমার ভাইয়ের আকামার ও ভিসার মেয়াদ ও শেষ হয়ে যায়। এরই মধ্যে আমার ভাইয়ের কাছে বাহার হুজুর স্বীকার করেন এইটা শুধু আমাদের অফিসে না বাংলাদেশের সকল অফিসেই এই একই কাজ হয়। উক্ত কথোপকথোনের কল রেকর্ড আমার ভাইয়ের কাছে বর্তমানে আছে।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ জিল্লুর রহমান
ইমেইল: nagorikkantho2021@gmail.com
অফিস: ১৩১ মৌচাক-মালিবাগ, শাহজাহানপুর ঢাকা-১২১৭
Copyright © 2025 Nagorik Kantho. All rights reserved.